২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন বাজারে ছাড়িয়ে থাকা ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে সেই সময়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থে ঘাটতি মেটাতে নতুন ২০০০ টাকার নোট বাজারে আসে কিন্তু সরকার আবার সেই ২০০০ টাকার নোটও বাতিল করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেই নোট ব্যাঙ্কের জমা করে দেবার কথা ছিল কিন্তু ওই সময়ের পরেও বহু টাকা বাজারে পড়েছিল। ওই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফেরাতে নয়া পদক্ষেপ নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ৩০শে সেপ্টেম্বরের পর ওই টাকা ফেরত নেয়া চলতে থাকে কিন্তু শুধুমাত্র রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অফিসে।
এরপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অফিস গুলিতে ভীড় বাড়তে থাকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি আঞ্চলিক অফিস আছে কলকাতার ডালহৌসিতে। সেই অফিসের সামনে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে ভীড়। কিন্তু সেই ভিড়ে থাকা অধিকাংশ মানুষই হল শহরতলির বাহিরের। তাদের কারোর বাড়ি সুন্দরবন এলাকায় তো কারোর বাড়ি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কোনও প্রান্তিক গ্রাম অথবা বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার জঙ্গল ঘেরা অজ গ্রামে। তাদের সবার কাছেই কম বেশি ৪ থেকে ৬টি করে নোট। এই সব মানুষের রোজগার বলতে প্রায় কিছু নেই, ফলে কাছে ৪-৫ টা করে ২০০০ টাকার নোট আসবে কোথা থেকে?
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অধিকাংশ মানুষেরই বক্তব্য তাদের নিয়মিত রোজগার বলে কিছু নেই। তারা আগে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করতেন, কিন্তু সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘নোট বদলের কাজ’ করছেন। অর্থাৎ যে ২০০০ টাকার নোটগুলো তারা বদলানোর জন্য দাঁড়িয়েছে সেগুলো তাঁদের নিজেদের নয়, তাদের কাজ ওগুলো বদলে দেওয়া।
READ MORE মা হওয়া নিয়ে অবশেষে সুখবর দিলেন অভিনেত্রী দীপিকা
কিন্তু কারা তাদেরকে এই নোট বদলাতে দিয়েছেন সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও কেউ কোনো উত্তর দিতে নারাজ। শেষে দু-এক জন বলেন যারা তাদের নোট দিয়েছে তাঁদের চেনেন না। তাদেরকে কাজ আছে বলে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে হাতে নোট ধরিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়তে বলা হয়। নোট বদল করে দিলে রোজের টাকাটা পাবেন।