আগামী শনিবার উদযাপন হবে ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজো। সে দিনই বাঙালিরা পালন করবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো।উমা ফিরে গিয়েছেন তাঁর বাপের বাড়িতে। এই বার তাঁর মেয়ের আসার কথা। আর এক দিন পরেই পূর্ণিমা। পূর্ণিমার এই পূণ্য তিথিতে মা লক্ষ্মী আসবেন সবার ঘরে ঘরে।
এদিন সবাই নিষ্ঠা সহকারে ধন সম্পদের দেবীকে ধুপ ধুনো,প্রসাদ দিয়ে মা লক্ষ্মীকে আহব্বান করবেন। কেবল বাংলা নয়, এই পুজোর মাহাত্ম্য রয়েছে বাঙালি সম্প্রদায়ের বাইরেও। মা যেন সারা বছর আমাদের ঘরে বিরাজ করেন,তাঁর আশীর্বাদ যেন থাকে সব সময় এই প্রার্থনাই করবেন।
অনেকেরই ধারণা এই দিনেই জন্ম হয়েছিল মা লক্ষ্মীর। তাই ধন সম্পদের দেবীকে তুষ্ট করতে এই দিন উপোস করে দেবীর আরাধনা করেন মানুষ।
Read Also: Durga Puja 2023: দুর্গা পূজার সময় ভারতে দেখার জন্য শীর্ষ ৫টি স্থান দেখে নিন|
প্রচলিত আছে, এই দিন চন্দ্র দেবের আশীর্বাদ অমৃত রূপে নেমে আসে পৃথিবীতে।
অনেকের মতে এই শারদ পূর্ণিমাকেই বলা হয় রাস পূর্ণিমা।এই দিনেই নাকি যমুনার তীরে রাসলীলায় মেতে উঠে ছিলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ।তাই ভগবান কৃষ্ণের আশীর্বাদ পেতেও অনেকে এই পূর্ণ তিথিতে স্নান করেন পবিত্র যমুনায়।
কিন্তু কোন ছয় উপায় মানলে ঘরে আসবেন মা লক্ষী? তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই তবে জানুন এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
১। এদিনে প্রথমে সন্ধেবেলা স্নান করে পরিষ্কার জামা কাপড় পড়ে শুদ্ধ হয়ে একটি লাল কাপড়ের উপরে দেবী মূর্তিটিকে রাখুন।
২। ভক্তি ভরে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে দেবীর আরধনা করুন। দেবীর ব্রতকথা পাঠ করুন।
৪। ব্রতকথা পাঠের পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর শাস্ত্রনাম এবং শ্রী হরি স্ত্রোত্র পাঠ করুন। দেবীর বন্দনা করুন।
৫। আবার রাতেবেলা একটি ঘটে সম্পূর্ণ জল ভর্তি করে রাখুন। সঙ্গে বাড়ির সব জায়গায় প্রদীপ জ্বালান।
৩। এই দিন দেবীর আশীর্বাদ লাভ করতে মা ‘কে পান পাতা অর্পণ করুন।
৬। দুধ, দই, ঘি,মধু, এসব কিছু মিলিয়ে তৈরি করুন পঞ্চমৃত তারপর তা দেবীকে নিবেদন করতে পারেন। তবে তাঁর উপরে একটি তুলসী পাতা দিতে ভুলবেন না কিন্তু।