বঙ্গে এখন হালকা শীতের ভাব। রাতে গায়ে পাতলা চাদরও নিতে হচ্ছে। তার সঙ্গে এই মরশুমে প্রায় প্রত্যেক ঘরে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগে রয়েছে। জাঁকিয়ে শীতকাল আসতে এখনও বেশ দেরি। যদিও শীত এলেই আরও জাঁকিয়ে বসবে জ্বর-সর্দির সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের মুখে এই ধরনের সমস্যা বেশ ভোগায়। তবে, শীত এলে যাতে রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে পারেন, সেই ব্যবস্থা এখন থেকেই গ্রহণ করা উচিত। তাই আপনাকে এই সময় থেকেই ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য নিজের যত্ন নিতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ক্ষেত্রে ডায়েটই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, দুধে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। এই পানীয়ে আছে ভিটামিন ও মিনারেল। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি থেকে শুরু করে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস থাকে এই খাবারে। তাই এই পানীয় শরীর সুস্থ রাখতে পারে। এমনকী দেখা গিয়েছে যে হাড়ের শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকরী হল দুধ। তাই এই পানীয় আপনি খান নিয়মিত।
দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ ভারতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই আছে। আসলে হলুদ দুধকে বলা হয় সোনার দুধ। কারণ এর এতটাই উপকার। সেই কারণেই এই পানীয় মানুষ খেতে পারেন।
Read More বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের আগে বেশি গুরুত্ব প্রাক্তন মুখ্যসচিবের
এবার হলুদ দুধ খাওয়ার নানা উপকার:
১. কাশি, সর্দি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এই পরিস্থিতিতে আপনি অবশ্যই আপনি খেতে পারেন দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে।
২. আসলে ইমিউনিটি বাড়িয়ে নেওয়াটা এই সময়ে খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে ইমিউনিটি বাড়িয়ে নিতে চাইলে খেতে পারেন দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে।
৩. হাড়ের ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে এই দুধ। তাই আর্থ্রাইটিস থাকলে আপনি অবশ্যই এই পানীয় খান।
৪. পেটের সমস্যা তো বাঙালিদের মধ্যে লেগেই থাকে। সেক্ষেত্রে পেটের সমস্যা মেটাতে গেলে হলুদ দুধ খেয়ে নেওয়াই যায়। তবেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
৫. শরীরে কিছুটা সময় পরপর জমতে পারে টক্সিন। এবার তা কিন্তু বের করে দিতে হবে। এই বিষ বের করে দিতে পারে হলুদ ও দুধ।
৬. সুন্দর দেখাতে তো সকলেই চান। এবার সেই কাজে সাহায্য করে এই দুধ।
৭. চুলকানি অনেকের হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে দুধ ও হলুদ মিশিয়ে খেলে চুলকানি কমে।
৮. ঘুমের সমস্যা তো অনেকের হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্যা দূর করে দিতে চাইলে হলুদ দুধ খান।
৯. অ্যাজামা, ব্রঙ্কাইটিস বা ওই ধরনের যে কোনও অসুখের বেদনা কমাতে পারে।
১০. ব্রণ কমতে পারে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়া জরুরি।